ঢাকা: কঠিন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক ঝুঁকি সত্ত্বেও ঋণের শর্ত পূরণে বাংলাদেশের কর্মক্ষমতা ব্যাপকভাবে সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় প্রস্তাব অনুমোদনকালে গত সোমবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন
পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
তবে পারফরম্যান্স সন্তোষজনক হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বেড়েছে এবং চার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ দেখাচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে গণঅভ্যুত্থানে পূর্ববর্তী সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। সময়মতো একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং সরকারের নানা উদ্যোগে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়; যা অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। তবে ক্রমাগত রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কঠোর আর্থিক ও রাজস্ব নীতির প্রভাব, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতে অব্যাহত চাপের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থায় আছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জটিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও
আইএমএফ কর্মসূচির অধীন তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের পর্যালোচনায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ব্যাপকভাবে সন্তোষজনক। সরকার প্রয়োজনীয় নীতিগুলো বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি বিনিময় হার আরও নমনীয় করার পাশাপাশি কর রাজস্ব বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইএমএফ’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাইজেল ক্লার্ক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলেছে। কঠিন পরিবেশ সত্ত্বেও কর্মসূচির কার্যকারিতা ব্যাপকভাবে সঠিক পথে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ এবং সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো ও যুক্তিসঙ্গত করা এবং ভর্তুকি কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।