ঢাকা: ৪৪তম বিসিএস-এ পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, চূড়ান্ত ফলাফলের সঙ্গে লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ, চূড়ান্ত ফলাফল প্রদানের পূর্বে ক্যাডার চয়েস সংশোষনের সুযোগ সহ ৮ দফা দাবি জানান ৪৪তম বিসিএস-এর একদল প্রার্থী।
বুধবার (২৫ জুন) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা এসব দাবি উত্থাপন করেন।
এ সময় বুয়েট শিক্ষার্থী সিরাজুস সালেহীন সিয়ন বলেন, ‘বিসিএস পরীক্ষার উদ্দেশ্য সুদক্ষ ও চৌকস অফিসার নিয়োগ করা। রাষ্ট্রের এই উদ্দেশ্য পূরণে এবং প্রত্যেকটি বিসিএস দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় বিগত বিসিএসগুলোতে সার্কুলারে উল্লিখিত পদের চেয়ে প্রতি বিসিএস-এই বেশি সংখ্যক পদে সুপারিশ করা হচ্ছে। কিন্তু মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ৪৪তম বিসিএস-এ এই বেকারবান্ধব প্রথার ব্যত্যয় ঘটতে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং পূর্বের বিসিএসগুলোর মত পদ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানাই।’
ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী রাজা এ.কে. আজাদ বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক শূন্যপদ আছে। এই পদগুলোতে জনবল নিয়োগের অভাবে জনগণ ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না, একই সেবা পাওয়ার জন্য বার বার জনগণকে দফতরে দফতরে ঘুরতে হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনে জনবলের অভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর জন্য বহুমুখীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি। আর, এই দিকে ৪৪তম বিসিএস-এ ১৩০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি-লিখিত-ভাইভায় উত্তীর্ণ হওয়া দক্ষ জনবল প্রস্তুত আছে ১০ হাজারের বেশি। এই জনবলের সকলেই সরকার যথাস্থানে নিয়োগ দিলে জনগণেরও উপকার হয়, আমাদেরও কর্মসংস্থান হয়।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক শিক্ষার্থী ৪৪তম বিসিএস ফল প্রত্যাশী মো. শাহ আলম স্নেহ বলেন, ‘বিগত ৩৮তম বিসিএসে পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০০টি, ৪১তম বিসিএসে পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২০টি, ৪৩তম বিসিএসে পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০৪টি। কিন্তু ৪৪তম বিসিএস-এর ক্ষেত্রে এমন কোনো ইতিবাচক খবর না থাকায় প্রার্থীরা শঙ্কিত। সরকারি দফতরগুলোতে ৯ম ও ১০ গ্রেডের ৫০ হাজারেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এই শুন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা একদিকে যেমন দফতরগুলোতে কাজের গতিশীলতা বাড়বে তেমনি স্বপ্ন পূরণ হবে হাজারো মেধাবী বেকারের।’
ডুয়েট শিক্ষার্থী মো. রাশেদ কবির বলেন, ‘সরকার, প্রশাসন ও পিএসসি’র সমন্বয়হীনতার শিকার হচ্ছে ৪৪তম বিসিএস-এর শিক্ষার্থীরা, যেটা ইতিহাসের দীর্ঘতম বিসিএস।’
তাদের দাবিরে মধ্যে আরও রয়েছে- একই ক্যাডারে একই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার সুপারিশ না করা, নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০২৩ বাতিল/সংশোধনপূর্বক ভাইভায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে চাকরি প্রদান, যেসমস্ত প্রার্থীর স্নাতকে পঠিত বিষয়ের বিষয় কোড নেই, তাদেরকেও সঙ্গতিপূর্ণ নন-ক্যাডার পদে আবেদনের সুযোগ প্রদান।