ঢাকা: বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে কোম্পানির সাভারস্থ কারখানায় ২৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেড।
বৃহম্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ঘোষণায় কোম্পানিটি এ তথ্য জানায়।
বিএটিবিসি’র ঘোষণায় বলা হয়, ঢাকা কারখানা বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সাভার কারখানার বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২৯৭ কোটি টাকা (প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড) বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। গত ২৫ জুন অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিনিয়োগের উৎস হিসেবে নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উৎস এবং ব্যাংকঋণের মাধ্যমে এ অর্থের জোগান দেওয়া হবে বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে লিজ চুক্তি নবায়নের আপিল সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অবস্থিত প্রধান কার্যালয় ও কারখানার জায়গা খালি করে দিচ্ছে বিএটি বাংলাদেশ।
জানা যায়, ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিএটি বাংলাদেশের বর্তমানে তিনটি কারখানা রয়েছে—মহাখালী, সাভার ও মানিকগঞ্জে। এছাড়াও কুষ্টিয়ায় একটি পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা (গ্রিন লিফ ট্র্যাশ প্ল্যান্ট) রয়েছে।
বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কারখানা স্থাপিত হয় ১৯৪৯ সালে, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে। এরপর ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান টোব্যাকো কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা গড়ে ওঠে মহাখালীতে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোম্পানিটির নাম হয় বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড। বিএটি গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কর্পোরেট পরিচয়ের মিল রেখে ১৯৯৮ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ।