ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নতুনভাবে নির্মিত সকল বড় অবকাঠামোতে বাধ্যতামূলকভাবে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ যন্ত্র এবং শব্দ পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পরিবেশ অধিদফতরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক এসব কথা বলেন।
প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসির ১০টি স্থানে স্থাপিত বায়ুমান পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নতুনভাবে নির্মিত বড় স্থাপনায় এ যন্ত্র স্থাপন করলে তুলনামূলক নির্ভুলভাবে অঞ্চলভিত্তিক বায়ুমান এবং শব্দ দূষণের তথ্য পাওয়া যাবে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নগরের পরিবেশ সুরক্ষায় সিটি কর্পোরেশন এরইমধ্যে রাজউক, বন অধিদফতর, ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাসসহ সংশ্লিষ্ট সকল নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে কার্যক্রম সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন ঢাকা বিশেষ করে উত্তরা ও পূর্বাচলে বনায়নের মাধ্যমে সবুজ আচ্ছাদন তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের বায়ুমান উন্নয়নে ‘জিরো সয়েল’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিংগেল ইউজ পলিথিন শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ। তাই এর ব্যবহার একেবারে বন্ধ করতে হবে।
‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’- এই প্রতিপাদ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সেমিনার হলে ৩৩টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।
সেমিনারে বক্তারা সিংগেল ইউজ পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে পলিথিন বর্জনের আহ্বান জানান।
প্রশাসক এ সময় অংশগ্রহণকারী সকল বেসরকারি সংগঠনকে নগরের পরিবেশ উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আশ্বাস দেন, সিটি কর্পোরেশন এসব কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।