ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছে আন্দোলনে নামা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সংগঠন— এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ মনে করে, প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ ছাড়া এ অচলাবস্থার নিরসন হবে না। তাই এই অচলাবস্থা নিরসনে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দাবি আদায়ে চার দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাজস্ব ভবন ঘিরে রাখে সেনাবাহিনীর একটি দল। সঙ্গে ছিল র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড। তারা কার্যালয় ভেতর থেকে আটকে রাখেন; কাউকে ঢুকতে দেননি এবং কাউকে বের হতেও দেননি। পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার ভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে মূল ফটকেই বসে পড়েন। পরে বাইরে থাকা অন্য কর্মীরাও ফুটপাত ও সড়কের একটা অংশে বসে পড়েন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন এনবিআরের কয়েক সদস্য ও কমিশনার।
পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মূল ফটকের সামনেই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সেখানে পরিষদের সভাপতি বলেন, আপনারা দেখছেন, আজ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে এনবিআরের তিনটি গেইট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এনবিআর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এনবিআরে ঢুকতে পারছে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দমন-নিপীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার যেমন দমন-নিপীড়ন করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে পারেনি, ঠিক তেমনি আমাদের ওপর দমন নিপীড়ন করেও আমাদের যৌক্তিক রাজস্ব সংস্কারের দাবিকে কেউ রুখতে পারবে না। এনবিআরের বিলুপ্তি রোধে আমাদের জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা বিসর্জন দিতে রাজি আছি।
এদিকে, শুক্রবারের মধ্যে চেয়ারম্যান অপসারণ না হলে শনিবার থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে ‘লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরুর ঘোষণা রয়েছে পরিষদের তরফে। একই সঙ্গে সব দফতর থেকে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।