খুলনা: ২০২৩ সালের ১৯ মে খুলনায় বিএনপির কর্মীসভা পণ্ড এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনসহ মোট ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার আবেদন করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শামীম হাসান জানান, আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)-এর পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন কর্মকর্তাকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, হত্যাচেষ্টাসহ ১০টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৯ মে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে একটি কর্মীসভা চলছিল। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল-সহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে হামলা চালায়। জোরপূর্বক সভা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ছাড়া, বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ ও স্প্লিন্টারের আঘাতে বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
মামলায় শেখ হাসিনাকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এ ছাড়া, অভিযুক্তদের তালিকায় তৎকালীন খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন, তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপীনাথ কাঞ্জিলাল, এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, উপ-পুলিশ কমিশনার বিএম নুরুজ্জামান, এসআই সুকান্ত-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।