নোয়াখালী: পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে চোরাবালি ও পানির ঘূর্ণিতে ডুবে নিহত ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মারুফের নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ি শোকে স্তব্দ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে মরদেহবাহী গাড়ি এলে তাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন।
নিহত মারুফের বাবা মোজাম্মেল হোসেন ছেলের শোকে স্তব্দ হয়ে আছেন। তার পরও তিনি জানান, জন্মের পর থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকতেন। মারুফ ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। বুধবার (২৫ জুন) কলেজে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু রাগ করে পরীক্ষা না দিয়ে ছয় বন্ধু মিলে ফুটবল খেলে বিকেলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে পানির ঘূর্ণিতে ডুবে যায় সে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার আরেক বন্ধু রিয়াজে রাব্বি তামীমও একইভাবে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তার মরদেহ সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এসে পৌঁছে। বুধবার ঘটনার পর থেকেই তার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ছোট বোনের এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় বোন ও মা ঢাকায় ছিল। তারা বিকেলে ফেরার পর সন্ধ্যার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।