খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদনের শুনানি ৩ জুলাই
১ জুলাই ২০১৮ ১৫:৩০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে অপর দুই আসামি ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্যও একই দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
গত ২১ জুন হাইকোর্টের ৫৮টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে বিচারপতি সহিদুল করিমকে অন্য একটি বেঞ্চে যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে যুক্ত করা হয়। এছাড়াও পুনর্গঠিত এই বেঞ্চে দুদকের মামলার শুনানির ক্ষমতা বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে. এম. হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।
ফলে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন ব্যতিত খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের রিভিশন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের দ্বৈত বেঞ্চ।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা আমাদের (দুদক) আবেদন হাইকোর্ট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে দুদকের মামলার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে শুনানি করতে বলেন। কিন্তু আমরা উভয়পক্ষের আবেদন একসঙ্গে শুনানি করতে চেয়েছি। তাই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাই। এর প্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের সঙ্গে আমাদের রিভিশন আবেদন ও অন্য দুই আসামীর আপিল আবেদনের একসঙ্গে শুনানির আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমএইচ