ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্লাটফর্মটির ‘সমন্বয়ক পরিচয়’ আবার কার্যকর হয়েছে। এর ফলে গত ৭ মার্চ নাহিদ ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের কোনো ভিত্তি থাকছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি লাখ লাখ মানুষকে একত্রিত করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত করেছে। তিনি দাবি করেন, এই আন্দোলনের কাউন্সিলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনসিপি) সংশ্লিষ্ট নেতারাও ভোটার ছিলেন এবং এনসিপির কার্যালয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নতুন নেতৃত্ব আসার কারণে প্ল্যাটফর্মটির ‘সমন্বয়ক পরিচয়’ আবারও কার্যকর হলো, যা নাহিদ ইসলামের ৭ মার্চের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘পূর্বে এই প্ল্যাটফর্মের কিছু নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় অনেকেই প্ল্যাটফর্মটি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু এটি আবার চালু করা হয়েছে। রাশেদ খানের মতে, প্ল্যাটফর্মটি সার্বজনীন না রেখে পুরোপুরি কুক্ষিগত করা হয়েছে। এর ফলে গণঅভ্যুত্থানের অন্যান্য অংশীদারদের প্ল্যাটফর্মটিকে নিজেদের বলে দাবি করার সুযোগ থাকছে না।’
রাশেদ খান আরও লেখেন, ‘যদি প্ল্যাটফর্মটি আবারও বিতর্কিত হয়, তবে এটি আওয়ামী লীগ আমলের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতো ঘৃণার পাত্রে পরিণত হবে। এমন সুযোগ রাখা উচিত ছিল না। নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের ওপর অটল থাকলে সবকিছু বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকত।’
বুধবার (২৫ জুন) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠিত হয়। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এই কমিটিতে রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) সভাপতি এবং মো. ইনামুল হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া মুঈনুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিনথিয়া জাহীন আয়েশা মুখপাত্র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।