জাপানে ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিত তাকাহিরো শিরাইশিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে পরিচিত ৯ জনকে খুন ও তাদের দেহ অঙ্গচ্ছেদের দায়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। খবর গার্ডিয়ান।
তাকাহিরো শিরাইশি ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার (বর্তমানে এক্স) ব্যবহার করে পরিচিত ৯ জনকে হত্যা ও তাদের দেহ অঙ্গচ্ছেদ করেন।
জানা গেছে, তিনি মূলত ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী নারীদের টোকিওর কাছের তার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে আসতেন। সেখানে তিনি তাদের হত্যা করে মৃতদেহ কেটে ফেলতেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিরাইশি ৯ জনকেই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি টুইটারে আত্মহত্যাপ্রবণ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মরতে সাহায্য করার প্রস্তাব দিতেন। পরে তার অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশে কুলারে মৃতদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখতেন।
বিচারমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি বলেছেন, ‘ডাকাতি, ধর্ষণ, হত্যা, মৃতদেহ ধ্বংস এবং মৃতদেহ ফেলে দেওয়া মতো অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ৯ জন ভুক্তভোগীকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং লুট করা হয়েছে। পরে তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে বাক্সে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিছু অংশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বিবেচনার পর আমি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছি।’