মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার যে দাবি করেছেন, সেটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। এমনকি আলোচনার কোনো কথাও হয়নি। এখন আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
শুক্রবার (২৭ জুন) মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আরাকচি বলেন, ‘ইরান কূটনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করা হবে কি না, সে বিষয়ে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন ‘
ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকায় আরাকচি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা কূটনীতি এবং আলোচনার প্রতি একটি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’। যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে হতাশ হয়ে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্ররাষ্ট্র ও ইসরায়েলি হামলার পর এর পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। ইরান এর ব্যাপকতা মূল্যায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার জন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এমনটা মনে করার সময় এখনো আসেনি।’
১৩ জুন থেকে জায়নবাদী বাহিনী ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে এবং ১২ দিন ধরে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করে ইরানের নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহান শহরের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালায়।
এই আগ্রাসনের পরপরই ইরানের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পালটা হামলা চালায়। ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ডস কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩’ এর অংশ হিসেবে জায়নবাদী বাহিনীর বিরুদ্ধে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা দখলকৃত অঞ্চল জুড়ে শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
গত ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি এই লড়াইকে থামিয়েছে।