Friday 27 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেড় মাসে সিলেটে ৬৯৩ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুন ২০২৫ ১৯:১৭ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ১৯:২৭

সীমান্ত দিয়ে পুশইনহওয়া বাংলাদেশিরা।

সিলেট: সিলেটের জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নতুন করে শুক্রবার ভোরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ (এফডিএমএন) ৩১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। এদের সবাইকেই আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ নিয়ে গত দেড় মাসে সিলেটের ৩১০ কিলোমিটার জুড়ে ৬৯৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। বিজিবির কঠোর নজরদারির মাঝেও অব্যাহত পুশইন সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়িয়ে তুলেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভোরে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মিনাটিলা কেন্দ্রী গ্রামে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিজ্ঞাপন

সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার মিনাটিলা বিওপির টহলদল কর্তৃক মেইন পিলার ১২৮২/৮ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কর্তৃক পুশইনকৃত ১৭ জন নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। আটকদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তিনি জানান, আটক হওয়া ১৭ জনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গভীর রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার ১৯ বিজিবির অধীনস্থ লালাখাল বিওপির একটি টহল দল বাগছড়া নামক স্থান থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে (মিয়ানমারের নাগরিক) আটক করে।

১৯ বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লালাখাল বিওপি ও ভারতের ৪ ব্যাটালিয়ন জালিয়াখোলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্তের মেইন পিলার ১৩০১ থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশইন অবস্থায় ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন, মহিলা ৪ জন, ছেলে শিশু ৩ জন ও মেয়ে শিশু ৩ জন রয়েছে।

জকিগন্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার জানান, আটক ১৪ জন রোহিঙ্গাকে নাম-পরিচয় বিস্তারিত তথ্যাদি সংগ্রহ পূর্বক নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৫/৬ বছর পূর্বে টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হতে তারা পালিয়ে ভারতে গিয়েছিলো। তাদের পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।

পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি জোরদারসহ পুশইন সংক্রান্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সারাবাংলা/এনজে

পুশইন বিএসএফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর