ঢাকা: চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও নির্বাচনি জোট কানাঘোষার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতের চার শীর্ষ নেতা।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেল ৩টার পর সমাবেশ মঞ্চে আসেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর মাওলানা অধ্যাক মুজিবর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আব্দুল হালিম।
জামায়াত ইসলাম ছাড়াও হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হিন্দু মহাজোট, এনসিপি, বৌদ্ধ বিহার, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতারা ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। এরা সবাই সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে একমত। তবে, সভা মঞ্চে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা যায়।

ছবি: সারাবাংলা
এর আগে, বাদ জোহর কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
প্রথম অধিবেশনে ঢাকা মহানগর নেতারাসহ সারাদেশে থেকে আসা মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যয়ের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীকে উৎসাহ দিতে নির্দিষ্ট সময়ের ৩ ঘণ্টা আগে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সভাপতিত্বে মহাসমাবেশের মূল অধিবেশন শুরুর ৩-৪ ঘণ্টা আগেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমর্থক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে হাজির হন।
রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে, টিশার্ট পরে মিছিলসহ উদ্যানের দিকে অগ্রসর হন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। কওমী, আলিয়া মাদরাসার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ ব্যানারে মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন।

ছবি: সারাবাংলা
এদিকে সমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহাবাগ মোড়, শিক্ষাভবন মোড়, হাইকোর্ট মাজার এলাকা, কদম ফোয়ার, মৎসভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর, চত্বর সংলগ্ন গেট, স্বাধীনতা জাদুঘর প্রধান ফটক এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার লোক নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।