চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার নাচোল উপজেলায় ভ্যানচালক রাজু আহম্মেদ (২১) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছিনতাই হওয়া ভ্যান এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ এই তথ্য জানান।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন— হত্যার মূল হোতা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে খাদেমুল ইসলাম এবং নাচোল উপজেলার ফতেপুর মসদিপাড়া এলাকার আমানত আলী ও তার ছেলে আমিনুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গত ২৩ জুন সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার পারিলা এলাকায় একটি আমবাগান থেকে ভ্যানচালক রাজু আহম্মেদের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রাজুর মা সুলতানা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও নাচোল থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। তথ্য-উপাত্ত ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ জুন ভোরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে মূল আসামি খাদেমুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে খাদেমুল জানায়, রাজুর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। ভ্যানটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি রাজুকে গাঁজা ও চুয়ানি জাতীয় মাদক সেবন করিয়ে অচেতন করে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে ও পিঠে আঘাত করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে তিনি আমানত ও তার ছেলে আমিনুরের কাছে ২০ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে নিজের বাড়িতে চলে যায়।
আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, রক্তমাখা কাপড়, নিহত রাজুর মোবাইল ফোন এবং ছিনতাই হওয়া ভ্যানটি উদ্ধার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন আকন্দ এবং নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।