Saturday 28 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউন
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহে অচলাবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২৫ ১৯:৫৫

চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন‘ কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমদানি-রফতানি শুল্কায়নসংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রমে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) সারাদেশে পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। সংগঠনটি জানিয়েছে, এ কর্মসূচি রোববারও চলবে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমদানি-রফতানির শুল্কায়ন সংক্রান্ত সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। শুল্কায়ন নথি ছাড় না হওয়ায় আমদানিকারকরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারছেন না। একইভাবে বেসরকারি ডিপো থেকে রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনারও বন্দরে প্রবেশ করছে না।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধের প্রভাব বন্দরের কার্যক্রমে পড়েছে। আজ (শনিবার) সারাদিনে কোনো কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়নি। আমাদের যেখানে প্রতিদিন চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হয়, সেখানে আজ জিরো। অফডক থেকেও কনটেইনার আসছে না। শুধুমাত্র বন্দরের ভেতরে যেসব রফতানি পণ্যের কনটেইনার আছে, সেগুলো জাহাজে তোলা হচ্ছে। আর জাহাজ থেকে আমদানি কনটেইনার খালাস হচ্ছে।’

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জটের শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে) কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমাণ থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এর আগে জুন মাসের শুরুতে এনবিআরে আন্দোলন এবং ঈদুল আজহার টানা ছুটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪৫ হাজার কনটেইনার জমে গিয়েছিল। বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছুটি শেষে দ্রুততার সঙ্গে ডেলিভারি দিয়ে কনটেইনার কমিয়ে আনা হলেও এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবার আন্দোলনের কারণে জট পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এভাবে ডেলিভারি বন্ধ থাকলে তো জট তৈরি হবেই। এর মধ্যেই কনটেইনার জমা শুরু হয়েছে।’

এদিকে, বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে।

আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম-এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ঘোষিত ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন যথারীতি চলবে। ২৯ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন যথারীতি চলবে।

তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ কমপ্লিট শাটডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া ২৯ জুন সারাদেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালিত হবে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

অচলাবস্থা এনবিআর কমপ্লিট শাটডাউন চট্টগ্রাম বন্দর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর