পাকিস্তানজুড়ে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২৮ জুন) আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শনিবারের (২৮ জুন) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় আকস্মিক বন্যা ও ছাদ ধসে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে; যাদের মধ্যে আটটি শিশু। মোট মৃতের মধ্যে ১৩ জনই সোয়াত উপত্যকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার (২৫ জুন) থেকে সেখানে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আটজন শিশু ছিল; যারা প্রবল বৃষ্টির সময় দেয়াল ও ছাদ ধসে মারা গেছে।
দেশটির দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বন্যায় ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক করেছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেশি থাকবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে তীব্র ঝড়ে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন। বসন্তকালে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি চরম আবহাওয়ার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল, যার মধ্যে শক্তিশালী শিলাবৃষ্টিও ছিল।
পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির ২৪ কোটি বাসিন্দা ক্রমবর্ধমান হারে চরম আবহাওয়ার ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।