ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুত মেয়াদ শেষ হয়েছে। সরকারের জায়গা থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরাই জুলাই ঘোষণাপত্র দেব।
রোববার (২৯ জুন) রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জুলাই গণআন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ বলেন, ৩ আগস্ট শহিদ মিনারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী একদফা দিবস ঘোষণা হয়েছিল। সে উপলক্ষ্যেই এ বছর ৩ আগস্ট ঘোষণাপত্রের ইশতেহার এবং জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবে এনসিপি। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ঘোষণা সরকারের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এখানে ঘোষণাপত্রের দাবিটি ছিল যারা অভ্যুত্থানকারী ছাত্র নেতৃত্বে ছিলেন তাদের পক্ষ থেকে দাবিটি এসেছিল যে, জুলাইয়ের প্রেক্ষাপট ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার জন্য জুলাই ঘোষণাপত্রটি প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রু রক্ষা করতে পারেনি। তাই ছাত্র জনতাকে সঙ্গে নিয়েই ৩ আগস্ট এই ঘোষণাপত্র ইশতেহার পাঠ করব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বরেন, যেহেতু সরকারের-ই এই দায়িত্ব ছিল। তারা পালন করেননি। তাই আমরা করছি। আমরা ঘোষণাপত্র দেওয়ার পর, সরকার এটাকে কিভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় সাংবিধানিকভাবে রূপ দেওয়া যায়, সেটা দেখবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত টানা কর্মসূচি থাকবে এনসিপির।
তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা ‘‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিকে যাব। ২০২৪ সালের ১ জুলাই ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে, কোটা সংস্কার দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। যা পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দেয়। যার ফলে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। এবং আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে তার পর থেকে কাজ করে চলেছি। দেখতে দেখতে ১ বছর পার হতে চলেছে। এই এক বছরে অনেক প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি রয়ে গেছে। এই জুলাই অভ্যুত্থান পৃথিবীতে এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। হাজারো মানুষের জীবন দান এবং এতো রক্থপাত ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা একটি মুক্তি লাভ করেছিল। একটি নতুন সম্ভবনার আলো দেখিয়েছিল।
