ঢাকা: রাজধানীর ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে করতে পালিয়ে যাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আর এই বাপ্পি সেদিন ডিবি পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণের নেতৃত্বে ছিল।
বোরবার (২৯ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ২৮ জুন রাত ২টার দিকে যশোর জেলার ঘোপ নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী বাপ্পিকে তার সহযোগী আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে বোমা রিপন ও মো. কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজত হতে তিনটি বিদেশী পিস্তল, ছয়টি গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ ১৫১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফকিরাপুল থেকে পল্টনগামী একটি সিলভার কালারের প্রাইভেট কারকে থামানোর নির্দেশ দেন। এ সময় গাড়িতে অবস্থানরত দুই মাদক কারবারি আচমকা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পলাতক সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডিবির তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক ৯০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মাদক কারবারিদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়। পরে ডিবি জানতে পারে এই ঘটনার মূল হোতা বাপ্পি ওরফে মো. আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসানুল হক। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত অস্ত্রধারী মাদক কারবারিকে ধরতে ডিবি রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, সাতক্ষীরা ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ জুন রাত ২টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির দোতলা বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী বাপ্পি ও তার সহযোগী আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে বোমা রিপন ও মো. কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।