ঢাকা: জকসু নির্বাচনে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়ন ও ফুড কার্ড চালুর দাবিতে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জবি শাখা।
রোববার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, “বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে গণতান্ত্রিক চর্চা, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক ও নিয়মিত ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন আয়োজন করা। সেই অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতির এবং সদিচ্ছাশূন্য মনে হচ্ছে।”
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর পক্ষে কথা বলার ও প্রতিনিধিত্ব করার কোনো গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম না থাকা যেমন অগণতান্ত্রিক, তেমনি এটি শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশ ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার হরণের সামিল। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রশাসনের কাছে জকসু নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ভিত্তিক রোডম্যাপ প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছে।’
তারা আরও বলেন, “বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোও অত্যন্ত করুণ ও অসম্পূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, যেখানে নেই পর্যাপ্ত পানির ফিল্টার, নেই শিক্ষার্থীদের বসার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান এবং খাবারের মান নিয়েও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন একটি ফুড কার্ড চালুর ঘোষণা দিলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বরং এই উদ্যোগটি এখন কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপও চোখে পড়ছে না।”
তাদের দাবিগুলো হলো:
১. দ্রুত সময়সীমা নির্ধারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে;
২. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিবেশ ও সেবার মানোন্নয়ন করে শিক্ষার্থীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে;
৩. শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে ঘোষিত ‘ফুড কার্ড’ কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে হবে এবং এর বাস্তবায়নে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে প্রশাসনকে অবগত করে বলা হয়, ‘আমাদের দাবিসমূহ অমূলক নয় বরং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির প্রতি অবিলম্বে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমরা বৃহত্তর ছাত্রস্বার্থে গণতান্ত্রিক ও সাংগঠনিক আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। আন্দোলনের সকল দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।’