কুষ্টিয়া: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলানাতয়নে এই বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘নিশ্চিত থাকো, এটা ধরে নাও যে আমার মেয়াদকালেই অবশ্যই একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই একটি সমাবর্তন হবে। আর শুনো, হ্যাঁ, আমার পরিকল্পনা আছে আগামী মাসের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি সমাবর্তন আয়োজন করার—যদিও ফেব্রুয়ারি মাসটা নির্বাচনের সময় হতে পারে, তবুও আমি চেষ্টা করবো যেন সেটা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হয়, যেন ফেব্রুয়ারি অতিক্রম না করে। ফেব্রুয়ারির আগেই আমি একটি সমাবর্তন আয়োজন করার চেষ্টা করবো—পরবর্তী বা তার পরের ইভেন্ট হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর একটা বিষয় হঠাৎ আমার মাথায় এলো—আমি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখেছি, তারা মিনি সমাবর্তনের আয়োজন করে। মিনি সমাবর্তন আয়োজন করতে খুব বেশি সময় লাগে না। তোমার গ্র্যাজুয়েশন এবং বর্ষ শেষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই বিভাগ বা অনুষদ চাইলেই খুব সহজে মিনি সমাবর্তন আয়োজন করতে পারো। আমারও এমন কিছু আয়োজন করার ইচ্ছে আছে।’
অনুষ্ঠানে বিভাগটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগটির অধ্যাপক ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক ড. শাহজাহান আলী। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বিভাগটির অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, ড. মাহবুবর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর মাত্র চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল। এর ৬ বছর পর দ্বিতীয় সমাবর্তন হয় ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর। তৃতীয় সমাবর্তন ২০০২ সালের ২৮ মার্চ এবং সর্বশেষ চতুর্থ সমাবর্তন ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। তারপর আর কোনো সমাবর্তনের মুখ দেখেননি শিক্ষার্থীরা।