কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি কাউন্সিল অধিবেশনে ভোট গ্রহণে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী কাজল মাজমাদার।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের একটি পুরাতন ভবনে টয়লেট থেকে কাজল মাজমাদারের চেয়ার প্রতীকে সিলমারা কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ব্যালট পেপার উদ্ধারের পর থেকেই দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সেই সাথে কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।
এ সময় তিনি এই অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ভোট গণনার সময় কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ফলাফলের পরই তাদের যত অভিযোগ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শতভাগ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ জুন) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পরদিন শনিবার (২৮ জুন) পুনর্গণনা শেষে চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোটের সংখ্যা হয় ৫৯৯। অন্যদিকে জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬১১।