ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আগামী দিন যে দল’ই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি শহিদ জিয়াকে ধারণ করে তাহলে বিচ্যুত হবে না। আপনারা শুধু শহিদ জিয়ার দিবস না তার দর্শনকেও লালন করুন। জুলাইয়ের পরে আপনারা কেউ পিছনে ফিরে যাবেন না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জিয়ার আদর্শে মানুষের জন্য কাজ করবেন তাহলে জিয়া আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’
রোববার (২৯ জুন) শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়বাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরাম। আজ সকাল ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘রাষ্ট্রের মালিক জনগণ কিন্তু ১৯৭১ ও ২০০৯ এর পরে যা হয়েছে তা জনগণের না হয়ে একটি গোষ্ঠীর হয়ে যায়। অনেকে সুবিধা পেতে চেয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে ইউনিভার্সাল ক্যারেক্টারে পরিণত হয়েছেন। তিনি ৩বছর ক্ষমতায় থেকে মানুষকে সেবা দেন এবং এই দেশকে একটি রিপাবলিক রূপ দেন। তিনি সেই সময় জাতিকে গড়ার একটি দর্শন দিয়েছেন। অনন্তকাল ধরে দেশের জনগোষ্ঠীর কাছে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসকরা যদি শাসনতন্ত্র নিজেদের জন্য বা দলের জন্য ব্যবহার করে তাহলে জনগণ অধিকার পাবে না। এই রাষ্ট্রে বহুমাত্রিক জাতি বাস করে। এই হিসেবে আমরা জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করতে পারবো না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সেকুলারিজম এমনভাবে শুরু হয় যে, মানুষ চিন্তা করতে শুরু করে এদেশ থেকে ইসলাম হয়তো হারিয়ে যাবে। শহিদ জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ আর ইসলামী মূল্যবোধ নিয়ে সোচ্চার হোন। শহিদ জিয়াউর রহমান কোন খন্ডিত ব্যক্তিত্ব নয় তিনি আপামর জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিত্ব।’
জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের সভাপতি আব্দুল মঈদ বাবুলের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।