ঢাকা: জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হলেও কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত কোনো তথ্য পায়নি। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে দেশটির সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
রোববার (২৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরশীল একটি সূত্র একথা জানিয়েছে। গত শুক্রবারে (২৭ জুন) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জঙ্গি সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতারের বিষয়টি প্রচার ও প্রকাশিত হয়। শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকেই দেশটির সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে এই সম্পর্কে তথ্য চায় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
এই বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। আমরা আরও স্পেসিফিক তথ্য পেতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে বিস্তারিত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা স্পষ্ট তথ্য পাওয়ার আগে এ বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য যোগ করার মতো অবস্থায় নেই।
এর আগে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, পুলিশের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে তিন ধাপে এই অভিযান পরিচালিত হয়, যা শুরু হয় ২৪ এপ্রিল থেকে।
গ্রেফতার ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অপরাধে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৬এ ধারা অনুযায়ী মামলা হয়েছে। শাহ আলম এবং জোহর বাহরুর দায়রা আদালতে তাদের অভিযুক্ত করা হয়।
সাইফুদ্দিন জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত চলছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার গোয়েন্দা তথ্য এবং সমন্বিত অভিযানের ভিত্তিতে জানা গেছে, এই গ্রুপটি আইএসের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে চরমপন্থার প্রচার চালাচ্ছিল।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এই ব্যক্তিরা তাদের নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে চরমপন্থার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সেল গঠন করেন। এই সেল মূলত উগ্রবাদী দীক্ষা দেওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্থ সংগ্রহ এবং নিজ দেশের সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে কাজ করছিল বলে জানান সাইফুদ্দিন।