Sunday 29 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বড় মাপের আইনচিন্তক ছিলেন আইনজীবী এমআই ফারুকী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুন ২০২৫ ২১:১৩ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২২:৫৪

ঢাকা: ‘সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী একজন বড় মাপের আইনচিন্তক ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক বা জাতীয় স্বীকৃতি পাননি। অনাদরে-অবহেলায় নিশ্চুপ একজন মানুষ চলে গেছেন। আইন অঙ্গন নিয়ে এত গবেষণা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রচার তিনি করেননি। এককথায় তিনি দেশের অমূল্য সম্পদ ছিলেন।’

রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এমআই ফারুকী স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এম আই ফারুকী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

ব্লাস্টের অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি (অব.) এমএ মতিন, অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, আইনজীবী নাজনিন নাহার দিপুসহ আরও অনেকে।

এম আই ফারুকীর একটি আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে চেয়েছিলেন এম আই ফারুকী। বাকি ১০ বছরে নিজের আত্মজীবনীসহ সংবিধানের ওপর একটি বই লেখার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু এত বয়স তিনি পেলেন না। এর আগেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছেন তিনি। ফলে সংবিধানের ওপর একটি ভালো সম্ভাব্য বই থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। যদিও আত্মজীবনীর পাণ্ডুলিপি এরই মধ্যে তার সন্তান লিখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষেরই কিছু আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন অবাস্তবায়িত ও অপূরণীয় থেকে যায়। এম আই ফারুকীর জীবনের তেমন ঘটেছে। তবে তিনি অজস্র মামলার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে উপকৃত করে গেছেন। এছাড়া কালো ধোঁয়ার (ট্যাক্সি) মামলাটিও তার কারণে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কারণে কিছুটা হলেও আজ আমরা মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারছি। যদিও ঢাকার বাতাস এখনও দূষিত।’

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘নিজের গোটা জীবনটাই মানুষের জন্য করে গেছেন আইনজীবী এম আই ফারুকী। তিনি মানবিক ও পরোপকারী ছিলেন। অসংখ্য আইনজীবীকে তিনি নিঃস্বার্থে উপকার করে গেছেন। বহু মানুষকে চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি অনেক মামলা বিনাপয়সায় লড়েছেন। তার এসব সততার কাছে আমরা কিছুই না। আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য মক্কেলের সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন এম আই ফারুকী। নীরবেই তিনি এসব করতেন। সবমিলিয়ে আমরা একজন মহানুভবতার মানুষকে হারিয়েছি।’

 

সারাবাংলা/আরএম/এসআর

আইনচিন্তক আইনজীবী এমআই ফারুকী সুপ্রিম কোর্টে স্মরণসভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর