বেনাপোল: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের সম্পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করায় সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। এর ফলে বন্দর এলাকা জুড়ে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বন্দরের প্রায় চার হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের চাপ সামলাতে কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আমদানি-রফতানি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, যানজট ও পণ্যজট নিরসনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানিয়েছেন, ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির কারণে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরে গত ২৮ ও ২৯ জুন দুদিন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রোববার (২৯ জুন) রাতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ সম্পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায়, সোমবার সকাল থেকে বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
দুই দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় উভয় দেশের বন্দর এলাকায় প্রায় ২ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে, যা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এই দুদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় সরকার প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল হাসান জানান, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন ও পণ্য ডেলিভারী শুরু হয়েছে। রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করা জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে আমদানি কৃত পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।