ঢাকা: রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যঞ্জয়ী প্রাঙ্গন’-এ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের থেকে শুরু করে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে তৈরি সাতটি স্মারক দেয়াল ভেঙে ফেলায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
সোমবার (৩০জুনা) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অন্যতম ভিত্তি ও অহংকার। এটা একদিনে সংগঠিত হয়নি।
বৃটিশবিরোধী সংগ্রাম থেকে শুরু করে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অসংখ্য সংগ্রামের শেষ পর্বে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। ওই মুক্তিযুদ্ধের স্মারক মুছে ফেলে সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মারক নির্মাণের যে কথা শোনা যাচ্ছে তা অত্যন্ত বিব্রতকর এবং তা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী। জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য স্মরণীয় এবং ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ১৯৭১ সালের চেতনারই ধারাবাহিকতা। কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্যোগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নানা কর্মসূচি এবং অনেকের অনেক বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার পরিপন্থী।
নেতৃবৃন্দ বলেন যে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির স্মারক নির্মাণ করা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মারককে মুছে ফেলে ওই স্থানে স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
অন্য যথাযোগ্য জায়গা নির্ধারণ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মারক নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
একইসঙ্গে ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের স্মারক নির্মাণের পাশাপাশি সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত সকল স্মারক যথাযথ যোগ্যতায় সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।