খুলনা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারের কাছে দাবি, গুম ও খুনের বিচার, আহতদের পুর্নবাসন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণ মেনে নেবে না।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে খুলনা-৫ আসনের নির্বাচনি এলাকায় দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে এবং জুলাই সনদ জুলাই মাসেই ঘোষণা করতে হবে। জুলাই বিপ্লবকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেব না। খুনিদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের ভেতরে কোনো ফ্যাসিবাদী থাকতে দেওয়া হবে না।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়; বিপ্লব পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের মহাসুযোগ। ফ্যাসিস্টদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর ইতোমধ্যেই দেশ নির্বাচনি ট্রেনে উঠেছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের ওপর হামলা, পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যাবে না। কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর প্রতি মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন দুর্বল থাকলে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে মনে রাখতে হবে যে, যেনতেনোভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না, সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য দরকার নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার। এই ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা চাইলে করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং ন্যায় ও ইনসাফের ওপর দাঁড় করিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে জামায়াত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের মুখে হাসি ফুটানো, জীবনমান উন্নতকরণ ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জামায়াত কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করবে। সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে জামায়াত জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশে জামায়াতের প্রতি ব্যাপক জনমত তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে একটি ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এমতাবস্থায় সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে।’