রংপুর: ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এদিন শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কর্মসূচি; থাকবেন দলের আহ্বায়ক সদস্যসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা।
সোমবার (৩০ জুন) রংপুর নগরীর গুপ্তপাড়ায় এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন রংপুর মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সাদিয়া ফারজানা দিনা।
তিনি জানান, পদযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওনসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য কেবলই একটি আন্দোলনের দিন নয়, এটি দেশের মানুষের আত্মত্যাগ, প্রত্যয় ও স্বপ্নের প্রতীক উল্লেখ করে রংপুর মহানগর এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সাদিয়া ফারজানা দিনা বলেন, ‘আন্দোলনের এক বছর পার হলেও এসেছে কিছু অর্জন, কিছু চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যাওয়ার লক্ষ্যেই এনসিপি এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
তিনি জানান, মাসব্যাপী এই পদযাত্রার সূচনা হবে পীরগঞ্জে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে। এরপর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ৩ জুলাই জাতীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করবে এনসিপি। সেখানে আহত ও শহিদ পরিবারগুলোকেও সম্মান জানানো হবে। এ ছাড়া ১৬ জুলাই পালিত হবে ‘বৈষম্যবিরোধী শহিদ দিবস’।
সংবাদ সম্মেলনে ১ জুলাই রংপুর জেলার কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল্লাহ আল গালিব জানান, সকাল ৯টায় শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর হয়ে রংপুরে প্রবেশ করবে পদযাত্রা। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শহীদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ স্থান পরিদর্শন, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর হয়ে টাউন হল শহিদ মিনারে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।