রংপুর: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম শহিদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহিদদের স্মরণ করে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টায় দলের আহ্বায়ক সদস্যসচিবসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা কবর জিয়ারতস্থলে আসার কথা থাকলেও তারা আসেন পৌনে ১১টায়। এরপর আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, ভাই রমজান আলীকে সঙ্গে নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওনসহ বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা কবর জিয়ারত করেন।
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য কেবলই একটি আন্দোলনের দিন নয়, এটি দেশের মানুষের আত্মত্যাগ, প্রত্যয় ও স্বপ্নের প্রতীক। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যাওয়ার লক্ষ্যেই এনসিপি এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জানা গেছে, মাসব্যাপী এই পদযাত্রার সূচনা পীরগঞ্জে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে এরপর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এরপর পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর হয়ে রংপুরে প্রবেশ করবে পদযাত্রা। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শহিদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ স্থান পরিদর্শন, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর হয়ে টাউন হল শহিদ মিনারে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ৩ জুলাই জাতীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করবে এনসিপি। সেখানে আহত ও শহিদ পরিবারগুলোকেও সম্মান জানানো হবে। এ ছাড়া ১৬ জুলাই পালিত হবে ‘বৈষম্যবিরোধী শহিদ দিবস’।