চট্টগ্রাম ব্যুরো: জুলাই বিপ্লব স্মরণে র্যালি ও দোয়া কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে র্যালি শুরু হয়। তারপর র্যালিটি কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে পৌনে ১১টায় শেষ হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন না হলে আমরা এখানে আসতে পারতাম না। লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়েই এই আন্দোলন হয়েছে। জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। এই স্পিরিট নিয়ে ন্যায্যতা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দূর করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে জুলাই আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে শোষণ, নিপীড়ন, গুম, হত্যার বিরুদ্ধে শহিদ আবু সাঈদ, হৃদয় তরুয়া, ফরহাদ, ওয়াসিম জীবন দিয়েছন, আমরা তাদের কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি? তাদের কতটুকু ধারণ করতে পেরেছি? আমরা হচ্ছি আত্মভোলা জাতি। রক্তের দাগ শুকিয়ে গেলেই আমরা সব ভুলে যাই। আমি অনুরোধ করব জুলাই বিপ্লবকে সামনে রেখে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করা যায়।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করেছিলেন, সেভাবে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল ম্যাচিউরড। যে উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন তা আমরা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা যদি তাদের স্পিরিট ধারণ করতে পারি তাহলেই বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। ‘
বক্তব্য শেষে দোয়া পরিচালনা করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আল-আমিনসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তসরা উপস্থিত ছিলেন।