Tuesday 01 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: হিটু শেখের খালাস চেয়ে আপিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ জুলাই ২০২৫ ১৬:২৯ | আপডেট: ১ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৮

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসামিপক্ষে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন। বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ১৭ মে আলোচিত এ মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এসব তালিকায় সাক্ষী ছিলেন ১৬ জন। এর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সাক্ষ্য দিয়ে নিজেদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন। এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে সই করেছিলেন। তারা এরই মধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন। মেডিকেল সার্টিফিকেটে তাদের সই শনাক্ত করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আছিয়া। শিশুটি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এর আগে, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা আয়েশা আক্তার।

গত ১৩ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। ২০ এপ্রিল মামলাটি আমলে নিয়ে চার্জগঠনের জন্য ২৩ এপ্রিল নির্ধারণ করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান। চার্জ গঠনের পর ২৭ এপ্রিল থেকে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ৭ মে ঢাকা মেডিকেলের দুই ডাক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ৮ মে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই

আছিয়া ধর্ষণ ধর্ষণ সুপ্রিম কোর্ট হিটু শেখ