ঢাকা: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ যদি বুক পেতে না দাঁড়াত, তাহলে কাজটা এত সহজ হতো না— এমনটিই মন্তব্য করেছেন শহিদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিএনপি এ ‘বিশেষ’ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
রমজান আলী বলেন, ‘রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ যদি বুক পেতে না দাঁড়াত, তাহলে হয়তোবা দেশের পরিস্থিতি এত সহজ হয়ে আসত না। আমি মনে করি- প্রথম শহিদ আবু সাঈদ রক্ত দিয়ে দেশের সকল পেশাজীবী, দলবল নির্বিশেষে সকলের সাহস যুগিয়েছিল। তার কারণে আজকে এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। আমরা সকলেই বাক স্বাধীনতা পেয়েছি। আসলেই বাকস্বাধীনতা আমাদের প্রাপ্য ছিল, সেটা আমরা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমি ধন্যবাদ জানাই। প্রথমেই তিনি একটা নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। আমাদের রংপুরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ভাই এবং সদস্য সচিব আমাদের বাসায় গিয়েছিল। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।’
রমজান আলী আরও বলেন, ‘আগামীতে আপনারা (বিএনপি) সকল শহিদ পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখবেন— এটা আমাদের দাবি। আহত যে ভাইয়েরা আছে, তাদের জন্য দোয়া করি, তারা সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, নগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
