ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জুলাইয়ের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো—একটি স্বৈরাচারকে বিদায় করা গেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান না হওয়ায় অনেকে জুলাইয়ের সফলতা নিয়ে শঙ্কিত।’ তবে ‘জুলাই ব্যর্থ হয়েছে’—এটা বলার সময় এখনো আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো, একটি স্বৈরাচারকে বিদায় করা গেছে, মানুষকে মুক্ত করা গেছে।’
জামায়াতের নায়েব আমির বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ মৌলিক পরিবর্তন চেয়েছে—যা গত ৫৪ বছরেও হয়নি। সরকার সংস্কারের মাধ্যমে সেই মৌলিক পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার যে প্রবণতা, সেটার লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছি। তবে বিএনপিসহ তিনটি দল বাদে আমরা সবাই এক হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সব দলকে বলতে চাই, আসুন, মৌলিক পরিবর্তনের প্রশ্নে আমরা একত্রিত হই। সংবিধান পরিবর্তনের ধারাগুলো মানতে হবে। আর না মানলে আমরা আবার আন্দোলনে নামব এবং সরকারকে বাধ্য করব মানতে।’ আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় যাবে তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। তবে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে না হলে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’
সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ ও জামায়াত গ্রহণ করবে না। মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছে একসঙ্গে সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে বলেও জানান জামায়াতের এ নেতা।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যেন তাদের অন্যায় করলেও জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায়।’