ঢাকা: অবশেষে ২০১৮ সালের সেই রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম। দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে নুরুল হুদাকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। পরে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।
আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। মামলায় আরও ২৪ জনকে আসামি করা হয়। গত ২২ জুন মামলাটি করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান।
ওই দিন রাতেই উত্তরার বাসা থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৭ জুন তাকে ফের চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেফতার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। নুরুল হুদার পর সাবেক আরেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেফতার করেছে ডিবি। তাকেও তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।