চেনা ঢাকার অচেনা জাদুঘর
২ জুলাই ২০১৮ ০৮:০২
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
বায়ান্ন বাজার তেপান্ন গলির শহর ঢাকা। তবে সে বহু পুরানো হিসেব। ঢাকা এখন আর বায়ান্ন বাজার তেপান্ন গলিতে থেমে নেই বিশাল মেট্রোপলিটন সিটির খাতায় লিখিয়েছে নাম।
একসময় ঢাকা সত্যি বায়ান্ন বাজার আর তেপান্ন গলির শহর ছিল এখানে ছোট ছোট পাড়া, মহল্লা ছিল সেইসব পাড়া মহল্লার প্রশাসনিক কাজ চালাতেন মহল্লার সর্দারা। ৪০০ বছর সময়কালে কত কীই না দেখেছে এই শহর। হালে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ হওয়া এই শহরের বুকের উপরে ছিল প্রশস্ত খাল। সেই খাল ধরে ডিঙি নৌকা চলত। একসময় নাকি হাতিও চলত এ শহরে। এখনকার আকাশচুম্বী সুরম্য ভবনের বাসিন্দাদের সময় কই সেসময়ের ঢাকা নিয়ে ভাবার?
আমরা ভাবতে পারি আর নাই পারি ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কার্যালয় নগর ভবনে ছোট্ট ছিমছাম একটি জাদুঘরে যতটা সম্ভব ছবি আর জিনিস দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ঢাকার ইতিহাস। মাত্র ২ টাকার বিনিময়ে দেখা যায় অমূল্য সেই দিনগুলোর ছবি। সারাবাংলার পাঠকদের জন্য এই জাদুঘরের কিছু ছবি তুলে ধরা হলো।
সত্যি সত্যিই এই জাদুঘরের প্রবেশমূল্য ২ টাকা। মূলত ব্যাক্তিগত সংগ্রহ থেকেই এই জাদুঘর তৈরি তাই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ টিকেটেই এই জাদুঘর সমৃদ্ধ করার আহ্বান করে যাচ্ছেন।
১৯১২-১৯১৫ সালে বানানো ঢাকা নগরীর প্রশাসনিক মানচিত্র। তখন মাত্র নগরীর আধুনিক শাসন ব্যাবস্থার আওতায় আসা শুরু করেছিল।
ছোট্ট জাদুঘরটা একটা অংশ জুড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ছবি। কিশোর পারেখ নামের অসীম সাহসী এখন ফটোগ্রাফার তুলেছিলেন যুদ্ধের এই ছবিটি।
একজনের ব্যাক্তিগত সংগ্রহ থেকে আসা প্রাচীন একটি ড্রেসিং টেবিল। আয়নাটা এখনও চকচকে আর মসৃণ।
পানদান ও শিশা। প্রাচীন ঢাকার অভিজাত অভিজাত একজনের ব্যবহার্য জিনিস ছিল এগুলো।
চামড়ার তৈরি এই ব্যাগটার নাম মশক। এই মশকে করে পানি সরবরাহ করা হতো। যারা মশকে করে পানি নিয়ে যেতেন তাদের বলা হতো ভিস্তিওয়ালা।
প্রাচীন একটি ছাপার মেশিন। গায়ে লোহা খোদাই করে লেখাও আছে PRESS।
১৮৬১ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র। নাম ঢাকা প্রকাশ।
সারাবাংলা/এমএ