ঢাকা: বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের ফিটনেস দিয়ে আগামী নির্বাচন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সরকার পুনর্গঠন করে জাতীয় সনদ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আবু সাঈদের বাবা একটি টেলিভিশন ইন্টারভিউতে বলেছেন, তারা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা পাননি। কেনো এখনো তাদের এই আক্ষেপ থাকবে—এর দায় সরকারের।’
নুর বলেন, ‘জুলাই বিভাজন নয়, ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু অনেক দল, যারা মনে করে ক্ষমতায় যেতে পারে, তারা তো কিছুই মানতে চায় না।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বর্তমান সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। আর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে–সম্প্রতি বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার এই সাক্ষাৎকার আমাদের আতঙ্কিত করেছে।’
তিনি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানান।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে গণ-অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘সরকারে আছেন বলে নিজেদের সর্বেসর্বা ভাববেন না। স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিন। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় জুলাই সনদ অবিলম্বে ঘোষণা করুন।’
সুনির্দিষ্ট আইনের আলোকে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নুর বলেন, ‘শুধু পুরানোদের কথায় কোনো সিদ্ধান্ত ঐকমত্য কমিশন নিতে পারে না। তরুণরা এটা মানবে না। রাষ্ট্র গঠনে জনগণের মতামত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভেদ তৈরি হয় এমন বক্তব্য থেকে সবার দূরে থাকা উচিত। সবাই আপস করলেও আওয়ামী লীগের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ আপস করবে না। এই প্রশ্নে কোনো রাজনৈতিক দল বা উপদেষ্টা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’