ঢাকা: দ্রুত জুলাই শহিদদের তালিকা প্রস্তুত এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিএনপি এ ‘বিশেষ’ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেফতার, হত্যা, খুন, খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী। ছাত্রজনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে বাংলাদেশকে গড়বার।’

গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা। ছবি: সারাবাংলা
‘এই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা, আহতদের সমবেদনা। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম, খুন, বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে’- বলেন খালেদা জিয়া।

বিএনপি আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা। ছবি: সারাবাংলা
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার। এই কাজ আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থানা সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে যে কোনো মূল্যে। বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহিদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি। বাস্তবায়িত করি কোটি মানুষের বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নকে।’