রংপুর: স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আবু সাঈদ চত্ত্বর। সকাল থেকেই এই চত্ত্বরে আনাগোনা বেড়ে যায়। অপেক্ষা কখন আসবে বৈষম্যহীন বাংলা গড়ার প্রত্যয় বক্ত করা ছাত্র জনতার সমন্বয়ে গঠিত দল জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ঠিক যখন সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টা ঠিক তখনই আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে এসে পৌঁছালো একটি মিনিট্রাক। তাৎক্ষণিক মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে গেল। ট্রাকে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেই সময়ই নাহিদ ইসলামের কণ্ঠে ভেসে আসলো ‘ক্ষমতা না জনতা’ সবাই বলে উঠলো জনতা জনতা। তিনি আবারো বললেন ‘দালালি না রাজপথ’ সবাই বলে উঠলেন রাজপথ রাজপথ। মনে হলো বোবাও তার বাকশক্তি ফিরে পেলো। চিৎকার করে বলে উঠলো জনতা জনতা, রাজপথ রাজপথ।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বিচার, সংস্কার, নতুন সংবিধান ছাড়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। এই ৩টি দাবি পূরণে সকলের সহযোগিতা চান নাহিদ ইসলাম।
জুলাই সনদপত্র বাস্তবায়নে কোন ধরণের টালবাহানা চলবে না উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদপত্র বাস্তবায়নে বাংলার প্রতিটি পথে প্রান্তরে যাবে এনসিপি। আগামী তিন তারিখ ছাত্র শ্রমিক জনতা সকলকে নিয়ে ঢাকায় ঢুকবো আমরা; জুলাই সনদপত্র বাস্তবায়ন করব।
তিনি বলেন, আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মসূচি শুরু করছি। আবু সাঈদেরা বুক চিতিয়ে আত্মত্যাগ করেছিল সেটাই আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। আবু সাঈদের মত সকল শহীদেরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের এই অনুপ্রেরণা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।