চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশন থেকে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পাঁচ শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩০ জুন) রাত ১১ টার দিকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। একজন সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার থেকে প্রভাষক (গণিত) পদে। আর বাকি চারজন কারিগরি শিক্ষা ক্যাডার থেকে ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিত পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী সজিবুল ইসলাম রমিজ, প্রভাষক (গণিত), একই সেশনের ইমতিয়াজ শাকিল, ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিত, সুফিয়ান, ইন্সট্রাক্টর, নন-টেক/গণিত, সুমাইয়া সালাম মীম, ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিত ও মাহবুবুর রহমান সাগর, ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিত ।
জানতে চাইলে ইন্সট্রাক্টর নন-ট্যাক/গণিতে সুপারিশপ্রাপ্ত আবু সুফিয়ান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিসিএস জার্নি আসলে অত্যন্ত ধৈর্যের। ক্যাডার হওয়ার অনুভূতি আসলে বলে প্রকাশ করা যাবে না। আমি অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে ৪১তম বিসিএসে প্রথম আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত আছি। আর ৪৪তম বিসিএস থেকে ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হলাম। সামনে ৪৫তম বিসিএসের ভাইভা দিব। এই পথে আসতে হলে সবার ধৈর্য নিয়েই আসা উচিত।’
ইন্সট্রাক্টর নন-টেক/গণিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহবুবুর রহমান সাগর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রথম বিসিএস ছিল ৪১তম। আমি ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ফেইল করি। তারপর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে যোগদান করি। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছি। এখন ৪৪তম বিসিএসে কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। এই পথে শুধু মেধা দিয়েই জয়ী হওয়া যাবে না। এখানে জয়ী হতে হলে মেধার পাশাপাশি অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে আবেদন করেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষা শেষে ১৬৯০ জনকে ক্যাডারপদে সুপারিশ করে সরকারী কর্ম কমিশন।