চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে ‘ছাত্রলীগ নেতা’ উল্লেখ করে এক যুবককে মারধর করতে করতে থানায় ঢোকার সময় পুলিশ বাধা দেয়, এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বুধবার (২ জুলাই) পুলিশের ‘হামলার’ প্রতিবাদে ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পটিয়া উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে এক যুবককে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তাকে ছাত্রলীগের নেতা উল্লেখ করে মারধর করতে করতে থানা চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
কিন্তু পুলিশ গ্রেফতার করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের বক্তব্য, ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।
এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা আটক যুবককে নিয়ে থানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এরপর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধ্বস্তাধস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশ নেতাকর্মীদের থানা থেকে বের করে দেয়।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ভেতরেই তাকে সংঘবদ্ধভাবে মারধর করা হচ্ছিল। থানার ভেতরে হইচই করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। বাধা দিলে তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু করে।’
ওসি’র দাবি, এ ঘটনায় পটিয়া থানার অন্তত চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে রাতে পটিয়া থানার সামনে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী।
ঘটনার বিষয়ে রিদওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’
এদিকে ‘পুলিশের হামলা’র প্রতিবাদে এবং ওসি’র প্রত্যাহার দাবিতে আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় থানার সামনে ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।