ঢাকা: উন্নত দেশ জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া যতটা পারা যায় সহজ করা হবে। এমনকি পারলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো সইজনিত প্রক্রিয়া রাখা হবে না। পুরো প্রক্রিয়া জাপানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘জাপান: নতুন শ্রমবাজার, কর্মী প্রেরণের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাইফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের নীতি উপদেষ্টা জিয়া হাসান।
আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। সবখানেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সই দেওয়ার জন্য। এখানে সই দেওয়ার সুযোগই রাখা হয়েছে যেন কোনো প্রক্রিয়াকে যতটা পারা যায় আটকে রাখা যায় সেই জন্য।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের শ্রমবাজারের নতুন গন্তব্য হতে পারে। সেখানে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে লোক নিয়োগের সুযোগ নেই। শুধু তাই নয় জাপানি ভাষা শিক্ষা ছাড়াও দেশটিতে কাজ পাওয়া যায় না। প্রতিনিয়ত জাপানের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমছে। ফলে বাংলাদেশিদের কাজের সুযোগ বাড়ছে। বাংলাদেশকেও জাপানের বাজার ধরতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আমরা জাপানকে বলেছি, তোমরা এসে নিজেরা ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে লোক নিয়ে যাও। তারাও আগ্রহ দেখাচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের শ্রমিক পাঠানো খরচের জাপানের লোক পাঠানোর খরচ খুব বেশি না। বরং সৌদি আরবে টাকা খরচ করে একজন প্রবাসী যে টাকা আয় করে একই টাকা খরচ করে জাপানে ১০ গুন টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে মালয়েশিয়াতে খুব বেশি হলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে। সেটিও পাঠানো সম্ভব হবে আগের সরকারের করা চুক্তি অনুসারে। নতুন প্রক্রিয়ায় মানুষ পাঠানোর সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সেই সিন্ডিকেট ফিরে আসছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। না হলে লোক পাঠানো সম্ভব নয়।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিভিন্ন আইন অমান্য করার কারণে নিষিদ্ধ হচ্ছেন। একজনের দায় পড়ছে পুরো বাংলাদেশের ওপর। সেই কারণে শুধুমাত্র সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।