ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একইসঙ্গে পলাতক আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।
এ মামলায় পলাতক আট আসামিকে গ্রেফতার করে আগামী ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্যও একই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন সকালে এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এর আগে, ২৪ জুন এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ওই দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি।
এদিকে, আজ এ মামলায় সাত আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল মুকুল।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।