Thursday 03 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকায় ‘নগর জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র’ উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২৫ ০০:০৬

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বিশ্বজুড়ে শহরগুলো যখন পরিবেশগত সংকটের মুখে, তখন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকায় ‘নগর জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়।

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই কেন্দ্রটি উদ্বোধন হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো গবেষণা, উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং প্রচারের মাধ্যমে জলবায়ু কার্যক্রম ও দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া নিয়ে শহুরে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অশীষ দামলে বলেন, ‘ঢাকার মতো শহরগুলো উচ্চ তাপ এবং বায়ু দূষণের মতো একাধিক সংকটের শিকার। এই চ্যালেঞ্জগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে আরও গভীর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

এই নবউদ্বোধিত কেন্দ্রটি শহুরে জলবায়ু ও দুর্যোগের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য আধুনিক গবেষণা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি তৈরি ও প্রচার, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কাজ করবে। বর্তমানে এটি ছয়টি মূল থিমের উপর মনোযোগ দিচ্ছে: শহুরে তাপ ও দূষণ, শক্তি পরিবর্তন, সবুজ অবকাঠামো, ভূ-স্থানীয় বিজ্ঞান, জলবায়ু ন্যায় এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা।

কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী ও গ্রহ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মার্টিন ভ্যান ক্রানেনডঙ্ক বলেন, ‘শহুরে উন্নয়ন আমাদের গ্রহকে নতুনভাবে গঠন করছে—এবং এর সঙ্গে আমাদের ঝুঁকিগুলোও। শহুরে এলাকাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় প্রভাবের সম্মুখীন। কিন্তু, একইসঙ্গে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও ধারণ করে। কেন্দ্রটি বিজ্ঞান ও সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে স্থানীয়ভিত্তিক, বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য সমাধান তৈরি করতে সক্ষম।’

ঢাকায় সুইডেনের দূতাবাসের প্রথম সচিব ও উন্নয়ন সহযোগিতার উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম বলেন, ‘আজকের শহুরে উন্নয়ন জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতাকে উপেক্ষা করতে পারে না। উদ্বোধন হওয়া কেন্দ্রটি শহুরে জনগণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ঢাকা জলবায়ু ঝুঁকির বিস্তৃত পরিসরে ক্ষতির সম্মুখীন।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘শহুরে ব্যবস্থাপনায় সেরা সমাধানগুলো প্রায়ই কমিউনিটি থেকে আসে। আমাদের অভিযোজিত কৌশল, সমন্বিত নেতৃত্ব এবং সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন ডিজাইন প্রয়োজন আজকের শহুরে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘শহুরে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা আর বিকল্প নয়; এটি অপরিহার্য। সহযোগিতামূলক পদ্ধতি দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবিলায় সহযোগিতা করে।’

সারাবাংলা/এফএন/এইচআই

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র নগর জলবায়ু