ঢাকা: অস্ট্রেলিয়া মনে করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভোটের টার্নওভার খুব ভালো হবে- এমনটিই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এ বৈঠক আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যমান সম্পর্ক কোথায় কোথায় ডেভেলপ করা যায়, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এডুকেশন, এগ্রিকালচার, বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের যারা অস্ট্রেলিয়ায় আছে আমাদের ইমিগ্রেটস- এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হয়েছে, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটা হয়, ইলেকশন কমিশনকে বড় ধরনের সহায়তা করে অস্ট্রেলিয়া। সেটা করছে ইতোমধ্যে এবং তারা সেটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা চাচ্ছে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন যেন বাংলাদেশে হয়। তার জন্য তাদের সহযোগিতা থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
আমীর খসরু বলেন, ‘‘তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে যাদের বয়স ৩০ তারা তো একেবারেই ভোট দিতে পারেনি। আমরা মনে করছি, তারাও (অস্ট্রেলিয়া) মনে করছে, আগামী নির্বাচনে ভোটের টার্নওভার খুব ভালো হবে। জনগণ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে, আগ্রহের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে যাবে, সব বয়সের ভোটাররা যাবে এবং একটি ভালো ভোট হবে, যার মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তোরণের পথকে সুগম করবে।’’
সংস্কার নিয়ে তাদের কোনো সাজেনশন আছে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘‘তাদের কোনো সাজেশন নাই। সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। এখন না শুধু, অনেক আগে থেকে বাংলাদেশের সব সংস্কারের উদ্যোক্তা হচ্ছে বিএনপি। সুতরাং এবারও তাই হয়েছে। আমাদের ভিশন ২০৩০ থেকে শুরু করে ২৭ দফা, ৩১ দফা এবং এটা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া, এটা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করা- এগুলো সব আলোচনায় আসছে। আমরা মনে করি, তারাও মনে করে এখন শুধু নির্বাচনের দিকে যাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলিযার কোনো শঙ্কা আছে কিনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘শঙ্কার তো কিছু না, বাংলাদেশের নির্বাচন যখনই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয়েছে, তখনই নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোই কিন্তু সবচেয়ে বেশি স্থিতিশীলতা রক্ষা করেছে। সুতরাং পুলিশ আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রটা এমন যে, ভোটাররা এবং রাজনৈতিক দলগুলোই চায় একটা স্থিতিশীলতা থাকুক এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হোক, যেটার জন্য সবাই ক্রেডিট নিতে চায়। সুতরাং এই বিষয়ে কারও কোনো শঙ্কা থাকার কোনো কারণ নাই।’’