ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জনগণের কাছে আমাদের দায় অনেক বেশি। এখানে মতামত দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সহযোগিতা কারা করছে, তা জনগণ বিবেচনা করবে। দ্রুত জাতীয় সনদ প্রণয়ন হোক, বিএনপি তা চায়।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার নবম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার যথেষ্ট অপব্যবহার করা হয়েছে। উপর্যুপরি ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে একমত, ক্ষমা প্রদর্শন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সংবিধানে যা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপনের ব্যাপারে আমরা একমত। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করেই এটি করতে হবে। তা করা গেলে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘অধস্তন আদালতের অনেক বিচারক এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনিদের গ্রেফতার করলেও দুই দিন পরই তাদের জামিন হয়ে যায়। বিগত দিনেও তারা রাতে কোর্ট বসিয়ে দেশের রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। তাই এসব বিচারককে শুধু চাকরিচ্যুত বা বদলি করলেই হবে না। তাদের উপযুক্ত বিচারও করতে হবে।’