ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন এবং ওই মামলার ২ নম্বর আসামি মো. ফরিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া এ মামলার ৭ নম্বর আসামি রাছেল সন্দেহে পুলিশ হেফাজতে আরও একজন আটক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার আলাউদ্দিন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইয়াছিনের ছেলে ও মো. ফরিদ একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শশীগঞ্জ গ্রামের নেজামুল হক নেজুর ছেলে। মানিক চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার জানান, গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনকে বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ও মামলার ২ নম্বর আসামি মো. ফরিদকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা খেয়াঘাট ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগে সোমবার ওই মামলায় ৩ নম্বর আসামি ঝর্না বেগমকে তজুমদ্দিন ও মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. মানিককে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, শনিবার ২৮ জুন রাতে গৃহবধূর স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী ঝর্না বেগম তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কামাড়পট্টি এলাকার মামলার আসামিদের নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে ৪ টাকা লাখ দাবি করেন। টাকার জন্য আসামিরা মারধর করেন। পরে ২৯ জুন সকালে সে ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার স্বামীকে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলার শ্রমিক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অন্যান্য আসামি তাদের সহযোগিতা করেন।
পরে গত ৩০ জুন সোমবার ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় আলাউদ্দিন, ফরিদ, ঝর্ণা বেগম, আলমগীর হোসেন, মানিক, মামুন ও রাসেলস আরও চার/পাঁচ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি মামলা করেন।