ঢাকা: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবেদন করেও নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়নি রাজনৈতিক দল মৌলিক বাংলা। এমনকি দলটির পছন্দের ‘মাথাল’ প্রতীকটিও সেবার অন্য দলকে বরাদ্দ দিয়েছে ইসি। চাহিদা অনুযায়ী নিয়ম-নীতি মেনে আবেদন করেও নিবন্ধন নিয়ে এবারও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মৌলিক বাংলা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর নির্বাচন ভবনের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলটির নেতাকর্মীরা ইসির বিরুদ্ধে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মৌলিক বাংলার সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘জনতার রাজনৈতিক দল মৌলিক বাংলা। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে আসছে। তাই দিল্লির নিয়ন্ত্রণে হাসিনা সরকার মৌলিক বাংলাকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা কৌশল বদলে নতুন সরকার এনেছি। কিন্তু বহিশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে এখনো কলোনিয়ান সচিব বা এলিট শ্রেণিকে বাংলাদেশপন্থী করতে পারি নাই, এমনকি ইসিও তাই। সেক্ষেত্রে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মৌলিক বাংলা সব সময় প্রস্তুত থাকবে বাংলাদেশ এবং জনতার পক্ষে।’
দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছাদেক আহম্মেদ সজীব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভবন এখনো আওয়ামী লীগ মুক্ত হয় নাই। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তাদের যে উদাসীনতা, স্বজনপ্রীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতা তা স্পষ্টই মৌলিক বাংলাকে ২০১৭ সালের ন্যায় এবারো নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে ষড়যন্ত্র করে ডিপস্টেটের পরামর্শে বঞ্চিত করা হবে।’
বক্তারা বলেন, ‘মৌলিক বাংলা বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক দল। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মৌলিক বাংলা প্রাণ ও প্রকৃতি, সার্বভৌমত্ব, আত্মরক্ষা, ভূরাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে এবং জুলাই বিপ্লবের অংশ। প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে সুন্দরবন বাঁচাতে ২০১৪ সালে ঢাকা থেকে পায়ে হেঁটে লংমার্চ করে এবং প্রজেক্টের ভিতরে ঢুকে সন্ত্রাসী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কতৃক ২২ জন নেতাকর্মী হতাহতের শিকার হন।’
তারা বলেন, ‘‘২০১৭ সালে মৌলিক বাংলা নিবার্চন কমিশনে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ জমা দিলেও কমিশন থেকে কারণহীনভাবে নিবন্ধন পায়নি। এদিকে জুলাই বিপ্লবের পর পরই মৌলিক বাংলা’র প্রতীক ‘মাথাল’ অন্যদলকে দিয়ে দেয় ইসি।’’
জুলাই বিপ্লবের পর গত ২০ এপ্রিল মৌলিক বাংলা রাজনৈতিক নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছে। তাই দলটি এবার ন্যয় বিচার পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইসির কাছে।
এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মওলানা ফজলে রাব্বি, নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ হাসান, শাহিন আলম, হাবিবুর রহমান হিরাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।