ঝালকাটি: ঝালকাঠির নলছিটিতে তালাক দেওয়ার পর প্রাক্তন স্ত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গোলাম রাব্বি নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নলছিটি উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী তার সাবেক স্বামীর গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত গোলাম রাব্বি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠি গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট গোলাম রাব্বির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিবাহের পর সে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরে আমার পরিবার থেকে তাকে ৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর গোলাম রাব্বি বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় আমাকে রেখে প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে তিনি আমাকে মৌখিক তালাক দেয় এবং বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। পরে আমি কাজীর মাধ্যমে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে তালাক দিয়েছি। এর কিছুদিন পর সে বিদেশ থেকে এসে গত ২৯ মার্চ ঢাকায় আমার বোনের বাসা থেকে আমাকে জোরপূর্বক তুলে এনে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশলের বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। সেখানে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে আমি ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসি।
তালাকের ৩ মাস পর দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে আদালতে ব্যভিচার ও সোনার গয়না-নগদ টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি। ওই মামলায় আমার বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। মিথ্যা মামলায় আমরা ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর আদালতে তালাক ও বর্তমান বিয়ের কাগজপত্র দাখিল করলে আমাদের জামিন হয়। কারাগারে থাকাকালীন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বর্তমান স্বামী ও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কল্পকাহিনী রটিয়ে আমাদের সম্মানহানি করেন গোলাম রাব্বি। বর্তমানে তার হুমকি-ধমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওই নারীর সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি ও হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে।