তেহরানে প্রয়াত আইআরজিসি (ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস) কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেইন সালামির স্মরণসভায় ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবদোলরাহিম মুসাভিম ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইহুদিবাদীরা তাদের ভুল পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে পঙ্গু করে দেওয়ার মতো পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে—কোনো সন্দেহ নেই।
শুক্রবার (৪ জুলাই) মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের ১২ দিন পর এটি ইরানের অন্যতম স্পষ্ট সতর্কতা। এর মাধ্যমে ইরান শুধু প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত নয়, বরং একটি সুনির্দিষ্ট ও চূড়ান্ত অভিযান প্রস্তুত রেখেছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। এই মন্তব্য প্রয়াত জেনারেল সালামির প্রতীকী ও কৌশলগত উত্তরাধিকারকেও তুলে ধরেছে; তাকে যুদ্ধক্ষেত্রের নেতৃত্বের এক আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মুসাভি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসলামিক বিপ্লবের নেতার প্রথম নির্দেশনার পরেই এই পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছিল। সংঘাতের বিরতির কারণে এটি স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে তিনি জানিয়েছেন, এটি অবিলম্বে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
ইরানের এই বিবৃতি তেহরানের বার্তাকে আরও শক্তিশালী করেছে, ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়লে তার কঠোর এবং অপ্রত্যাশিত প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
সালামির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সাহস, দৃঢ়তা এবং নির্ভীক সম্মুখ উপস্থিতি তার জীবনযাত্রার সংজ্ঞা ছিল—গুণাবলী যা তিনি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। তিনি শত্রুদের সামনে অটল ছিলেন, তবুও বন্ধু এবং কমরেডদের মধ্যে ছিলেন নম্র এবং উৎসাহদাতা।‘
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন এক জাতি যা আর কোথাও নেই। ঐক্য ও সংকল্প দিয়ে আপনারা শত্রুকে পিছু হটতে এবং মাথা নত করতে বাধ্য করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর একজন অভিজ্ঞ এবং বিপ্লবী কমান্ডার। তিনি বিভিন্ন অপারেশনাল থিয়েটার সম্পর্কে পরিচিত, তিনি আরও বেশি শক্তি নিয়ে আইআরজিসিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’