ঢাকা: মাদরাসা নিয়ে উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদের বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘গত ৩ জুলাই নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ মাদরাসায় শিশুদের যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ তুলেছেন তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি দেশের মন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত। দেশের সকল নারী ও শিশুর স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব। মাদরাসায় কোনো শিশু নির্যাতনের শিকার হলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও তার দায়িত্ব। এমন গুরুতর দায়িত্ব নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন। তার কাজ তো অভিযোগ করা না। ব্যবস্থা নেওয়া। সত্য হলো, মাদরাসায় শিশু নির্যাতনের তেমন কোনো ঘটনা ঘটে না; ফলে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কিছু নাই। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা হলো মাদরাসা সম্পর্কে জনমনে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা।’
তিনি বলেন, ‘মাদরাসাগুলো জনমানুষ সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতিদিনই এলাকার সাধারণ মানুষ নামাজ পড়তে আসেন। ফলে মাদরাসায় কোনো অঘটন ঘটলে তা চাপা পড়ার কোনো সুযোগ নাই। মাদরাসাগুলো চোখের আড়ালে থাকে বলে তার অভিযোগ যথার্থ না। বরং প্রতিটি মাদরাসাই উন্মুক্ত ও সকলের জন্য সমান প্রবেশাধিকার থাকে। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি শারমিন মুর্শিদ মাদরাসা ও মাদরাসার চরিত্র সম্পর্কে একেবারেই জানেন না।’
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, ‘আমরা আশা করব, আমাদের উপদেষ্টাবৃন্দ দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করবেন। তথ্যভিত্তিক কথা বলবেন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা কোনো উদ্দেশ্য দ্বারা তাড়িত হয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। মাদরাসা সম্পর্কে অতীতের ফ্যাসিবাদ যেভাবে নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়েছে, তার সঙ্গে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হয়ে তিনি তাল মেলাবেন না। উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদকে তার বক্তব্যের জন্য অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।’